রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা সাইফুজ্জামান সোহাগের শ্বশুরের মোবাইলে ফোন করে ‘মুক্তিপণ দাবি’ করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুজ্জামান। গত বুধবার রাতে ‘র্যাব পরিচয়ে’ রাজশাহীর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
সাইফুজ্জামানের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছে বেলা একটার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। ফোনে আমাকে বলা হয়, আপনি কি আপনার জামাইকে ফেরত পেতে চান? আমি বলি, অবশ্যই। তারপর আমাকে বলা হয়, তাহলে আপনাকে কিছু খরচপাতি করতে হবে। আমাকে বলা হয়, সোহাগকে পেতে চাইলে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।’
রেজাউর রহমান আরও বলেন, ‘ওই ফোন আসার কিছুক্ষণ পরে আরও একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, আপনার জামাইকে পাওয়া গেছে। সে পিরোজপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সেখানে সোহাগ নেই।’
সাইফুজ্জামানের বাবা আক্কাস উজ জামান বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো ফোন আসেনি। যেভাবেই হোক আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’
সাইফুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া এলাকার পশ্চিমপাড়ায়। গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুজ্জামানের বাবা অভিযোগ করেন, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে র্যাব পরিচয়ে ১৫ জনের একটি দল সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাইফুজ্জামানের বাবা নগরের রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। র্যাবের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন। তবে পুলিশ ও র্যাব জানিয়েছে, সাইফুজ্জামানকে তারা আটক করেনি। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী উম্মে হাবিবার আত্মহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখতে নারায়ণঞ্জের জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা
দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ
বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার রাত ৭টার দিকে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদ হোসেন সরদারের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বাংলামেইলকে জানান, খবর পেয়ে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ঘটনার পরপরই জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভাইয়ে-ভাইয়ে সংঘর্ষে একজন খুন, আহত ১০
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম সদরে জমির মালিকানা নিয়ে একই পরিবারের চাচাতো ভাইদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় চাচাতো ভাই নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন।
শনিবার সকালে সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের মালভাঙ্গা গ্রামে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
মালডাঙ্গার বাসিন্দা আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন (৮৫) ও ছেলেদের সঙ্গে তারই সৎ ভাই আব্দুল সোবহান (৮০) ও তার ছেলেরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আকতার হোসেন (৪০)। তিনি আব্দুল সোবহানের ছেলে। আহতরা হলেন- আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেনের ছেলে আব্দুল বাতেন(৬৫), সামছুল হক (৫৫), ইব্রাহিম আলী(৫০), রুহুল আমিন(২৫) ও উল্যামিয়া(২০) এবং আব্দুল সোবহান ও তার ছেলে তাজুল ইসলাম (৪০) ও রাজুমিয়া (২২)। এর মধ্যে আব্দুল বাতেন, সামছুল হক, ইব্রাহিম আলী, উল্যামিয়ার অবস্থার অবনতি ঘটলে বিকেলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৩২ শতাংশ আবাদী জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন ও তার সৎ ভাইয়ের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে শনিবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর এক পর্যায়ে দেশিয় অস্ত্র দা, কুড়াল, ছুরি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দফায় দফায় এ সংঘর্ষে দুই পরিবারের আহত হয় অন্তত দশজন। এরমধ্যে গুরুতর জখম আকতার হোসেনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নেয়ার আগেই সেখানে মারা যান। গুরুতর আহত বাতেন, সামছুল, ইব্রাহিম, উল্যামিয়াকে বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. রুহানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি জেনেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার। আজ বিকেলে রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘পৌরসভা নির্বাচন- ২০১৫ ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে যে সিটি নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে গণতন্ত্রের লেশমাত্র ছিলো না। এখনও আমরা নীল নকশার একটা নির্বাচনে যাচ্ছি। কারণ একটাই দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে আনতে হবে। পৌর নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করার পরও সারাদেশ বিএনপির ১০ হাজার নেতকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্রই নেই, আবার এর ভবিষ্যত কী হতে পারে? যা আছে তা গণতন্ত্রের ফ্যাসাদ। সরকারের একদলীয় শাসন চলছে, মুক্তচিন্তা নেই। জীবন রক্ষার নিরাপত্তাটুকুও নেই বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। সংগঠনটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারি প্রমুখ।