Thursday, 25 February 2016

আন্দোলনে বেতন কমল ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলে






অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে বেতন কমাতে বাধ্য হয়েছে রাজধানীর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে অভিভাবকদের দাবি অনুযায়ী অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও সেশন চার্জ না কমানোয় তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
আন্দোলনরত কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেতন বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও সেশন চার্জ কমানোর দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে খিলগাঁওয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন অভিভাবকেরা। এরপর সব শ্রেণির বর্ধিত বেতন ২০০ টাকা কমানো হয়েছে, যা পরবর্তী টিউশন ফি আদায়ের সময় সমন্বয় করে নেওয়ার কথা বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত শতাধিক অভিভাবক ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বেতন ১১০০ টাকা (জুনিয়র-প্রথম থেকে পঞ্চম) ও ১২০০ টাকা (ষষ্ঠ থেকে দশম), ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা এবং সেশন চার্জ সাত হাজার টাকা। অথচ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এগুলোর হার অনেক কম। এমনকি ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজেও এত বেশি নয়। তাই এগুলো কমাতে হবে।
অভিভাবকেরা এসব দাবিতে লিফলেটও বিতরণ করেছেন। সেখানে লেখা আছে—বেতন ৮০০ টাকা করতে হবে, অতিরিক্ত আদায়কৃত ভর্তির ১০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে, যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য অভিভাবক প্রতিনিধি রাখতে হবে, একাধিক বাচ্চার ক্ষেত্রে হাফ ফ্রি, ফুল ফ্রি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাকসুদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অভিভাবকেরা আপত্তি তোলার পরপরই বর্ধিত বেতন ২০০ টাকা কমানো হয়েছে। বলেছি, বেতন ২০১৫ সালে যেটা ছিল সেটাই থাকবে। অথচ দাবি মেনে নেওয়ার পর এখন অভিভাবকেরা নতুন দাবি তুলেছেন। বর্তমানে যে হারে বেতন নেওয়া হচ্ছে তা কমানো সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মাকসুদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সরকারকে ট্যাক্স, ভ্যাট দিচ্ছি। যেটা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দিতে হয় না। এই ক্ষেত্রে বেতন নেওয়া যৌক্তিক। কারণ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন বাড়ানোর পর যদি আমাদের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো না হয়, তাহলে ভালো ভালো শিক্ষকদের রাখা সম্ভব হবে না। এটা তো অভিভাবকদের বুঝতে হবে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে কমিউনিটি সেন্টার
















রাজধানীর দয়াগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধিকাংশ দিনই বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান হতো। স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এসব অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া আদায় করত এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। স্কুলের নিচতলা দখল করে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় ছিল তাদের নিয়মিত কাজ।
এমন অভিযোগ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ স্কুলে অভিযান চালায় র‍্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‍্যাব-১০-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বরের নেতৃত্বে এই অভিযানে স্কুল থেকে ১৩৫টি চেয়ার, ১২টি ডেকচি, একটি লোহার কড়াই, ছয়টি অসিন টপ, ১২টি ঢাকনা, আটটি করাত, দুটি ড্রাম, দুটি ত্রিপল, ৭৪টি গ্লাস, ১৮টি কাচের জগ, দুটি স্টিলের চুলা জব্দ করা হয়।
অনুষ্ঠান আয়োজনের অপরাধে ইদ্রিস আলী (৪৬), মাসুদ রানা (৪০), রাজু আহম্মেদকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, তিন তলা ভবনের এই স্কুলের নিচতলার বড় চারটি কক্ষ দখল করে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ভাড়া দেওয়া হতো। এর সঙ্গে স্কুলটির ব্যবস্থাপনা কমিটি জড়িত। প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। তবে ব্যবস্থাপনা কমিটির কাউকে অভিযানের সময় পাওয়া যায়নি। ডেকোরেটরের লোকজন স্কুল ভবনের একটি অংশ প্রায় নয় বছর ধরে দখল করে রেখেছিল। তাদের তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের মধ্যে ইদ্রিস আলী ডেকোরেটরের মালিক ও মাসুদ রানা ব্যবস্থাপক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিনের বেলা অনুষ্ঠান থাকলে বেশ আগেই ছুটি হয়ে যেত। এ জন্য নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হতো না এই স্কুলে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপির প্রভাবশালী লোকজন এর সঙ্গে জড়িত। তাঁদের লোকজনই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে জড়িত। নতুন কমিটি না করে পুরোনো কমিটির লোকজন স্কুল ভবনে এই কমিউনিটি সেন্টার বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। রান্নার কারণে ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলোতে কালো দাগ পড়েছে। এর ফলে ১১০০ শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় অসুবিধা হতো।
দয়াগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বাধা দিলেও প্রভাবশালীরা কথা শুনতেন না। তাদের ইচ্ছেমতো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতো।’



Monday, 22 February 2016

হাসি ফুটেছে ‘বৃক্ষ মানবের’ মুখে



ত্বকে ভাইরাসের সংক্রমণে হাত-পায়ে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো আঁচিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে একদিন আগেই অস্ত্রোপচার কক্ষে ঢোকেন ২৫ বছর বয়সী এই যুবক।
গণমাধ্যমে ‘বৃক্ষ মানব’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা বাজনদারকে রোববারও পোস্ট অপারেটিভেই রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। সেখানেই সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অস্ত্রোপচারের ধকল নিয়ে শুয়ে থাকলেও বাজনদারকে দেখা যায় বেশ হাসি-খুশি।
কেমন আছেন- জানতে চাইলেই চোখে-মুখে হাসি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক ভালো আছি। ...আমার ডান হাতের সব শিকড় কেটে দিয়েছেন চিকিৎসকরা, একটুও শিকড় নাই।”
দুই হাত, দুই পা মিলিয়ে চারটি অংশের একটি অংশে শনিবার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। এতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে।  
“প্রথমে একটু ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু পরে ভয় কেটে যায়,” বলেন ‘বৃক্ষ মানব’।
পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাজনদারের বৃদ্ধ মা আমিনা, স্ত্রী হালিমা এবং তার কোলে ছিল তার তিন বছর বয়সী মেয়ে। তারাও  ভীষণ খুশি।
“সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, তা ভাবতেই তৃপ্তিতে মনটা ভরে যায়,” বলেন হালিমা।
অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে থাকা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম বলেন, “আবুল ভালো আছেন। সবকিছু খেতে পারছেন। অপারেশনের পর যে সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, আবুলের ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না।”
তিন সপ্তাহ পর বাজনদারের বাম হাতে অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা চিকিৎসকদের।

বইমেলায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা, সিসি ক্যামেরায় দুজনের ছবি



Sunday, 21 February 2016

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের গ্রামে শোকের ছায়া



সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কেশবপুরের চারজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে মক্কা থেকে রিয়াদে ফেরার পথে শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টার দিকে আল খাচরা নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কেশবপুর পৌরসভার ভোগতী গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্বাস আলী (৪২), তার স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৩০), প্রতিবেশী চাচাতো বোন এবং ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শেখপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী বেগম ও তার (নিহত শিউলী) ছেলে ওমর আল সায়েম। 

এ ঘটনায় নিহত আব্বাস আলীর মেয়ে আফসা আফরিন প্রীতি (৭) ও নিহত শিউলীর স্বামী সাইফুল ইসলাম (৪৮)সহ গুরুতর আহত তিনজনকে আল গুয়াইয়া হাসপাতালের আইসিউতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, কেশবপুর পৌরসভার একই গ্রামের চারজনের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে। 

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত আব্বাসের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। 

প্রতিবেশীরা বলেন, আব্বাস খুব ভালো ছেলে। আব্বাস ছোটবেলায় তার বাবাকে হারিয়ে খুব সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন সৌদিতে প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী ও মেয়েকেও সৌদি নিয়ে গেছেন। বর্তমানে শুধুমাত্র তার মা বাড়িতে থাকেন। আর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে আয়ার চাকরি করেন। 

প্রতিবেশীরা আরো বলেন, একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আব্বাসের মা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এবং শেষবারের মতো মরা ছেলের মুখ দেখার জন্য সহযোগিতা পেতে নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন। 

এলাকাবাসীর দাবি, নিহতদের পরিবারের তেমন কোনো লোকজন নেই। ফলে তাদের মৃতদেহ আনতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার ভোগতি গ্রামের মৃত বাসতুল্য সরদারের ছেলে আব্বাস আলী প্রায় ১৮ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে সৌদী আরবে যান। পরে সেখানকার রিয়াদ শহরে হাউজ পেন কোম্পানির ড্রাইভার হিসেবে চাকরি নেন। 

নিহত আব্বাস আলী গত ৮-১০ মাসে তার স্ত্রী ও কন্যাকে সৌদি নিয়ে যান। এছাড়াও একই গ্রামের মেয়ে-জামাই ও ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শেখপাড়ার সাইফুল ইসলাম প্রায় দেড় যুগ ধরে সৌদি আরবের একটি রং কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার স্ত্রী ও ছেলেকে সৌদি নিয়ে যান। 

কাজের মাঝেও কবিতায় খেয়ালি মন ডিসির



সাহিত্যপ্রীতি থাকলে পেশাদারিত্ব বাধা হয় না। সাহিত্যের নেশা সবার থাকে না। আবার পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সাহিত্যচর্চা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে এবারের বইমেলায় এমনই একজনকে পাওয়া গেছে যিনি পুলিশে উপ-কমিশনারের দায়িত্ব পালনের মাঝেও সাহিত্য প্রীতি ছাড়েন নি। তিনি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তিনি।

নেশার মতো জেঁকে বসা সাহিত্যানুরাগ থেকেই লিখেছেন কবিতা। স্কুল জীবনে কবিতায় হাতে খঁড়ি। সেই থেকে কবিতার নেশা। বিসিএস দিয়ে পুলিশে আসায় পেশাদারিত্বের ব্যস্ততাতেও ভাটা পড়েনি লেখা ও পড়ার নেশায়। লিখেছেন অনেক কবিতা। এবারের বইমেলায় এসেছে তার কবিতার বই ‘খেয়াল’।

গত শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তার কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। এরপরই আলোচনায় আসেন লালবাগের এ লেখক ডিসির।

শনিবার দুপুরে শহীদ মিনারের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য নির্মিত ডিএমপির ক্যাম্পে কথা বলেন জাগো নিউজের সঙ্গে। আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তার কবিতা প্রতি প্রেম, লেখার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। জাগো নিউজকে দেয়া তার একান্ত সাক্ষাতকার পাঠকদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হলো।

Saturday, 20 February 2016

প্রতিবন্ধীর ঘরে ইয়াবা রেখে টাকা আদায় ‘পুলিশের’




রাঙামাটিতে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত





রাঙামাটি: রাঙামাটি শহরের সুখীনীলগঞ্জ পুলিশ লাইন ব্যারাকে এক পুলিশ কনষ্টেবলের অসতর্কতার কারণে প্রাণ গেল আরেক পুলিশ কনষ্টেবলের।
শনিবার সকালের দিকে এঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম পূর্ণ বড়ুয়া (২০)। তার পিতার নাম শেখর বড়ুয়া, গ্রামের বাড়ী পূর্ব গুজরা, রাউজান, চট্টগ্রাম।
একই ব্যারাকে কর্তব্যরত পূর্ণ বড়ুয়াকে কনষ্টেবল সৌরভ বড়ুয়া (২০)ডিউটির জন্য ডাকতে যায়।
তখন অসতর্কতার কারণে সৌরভ বড়ুয়ার চাইনিজ রাইফেল থেকে গুলি বের হয়ে ঘটনাস্থলেই পূর্ণয় বড়ুয়ার মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু ঘটে।
সৌরভ বড়ুয়া ও পূর্ণ বড়ুয়া গত ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ কনষ্টেবল পদে চাকুরিতে যোগদান করেন ৷
পুলিশ কনষ্টেবল পূর্ণ বড়ুয়ার মৃত্যু বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙামাটি সদর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল জানান,ডিউটি শেষে রাইফেল থেকে গুলি অপসারণ করার সময় অসতর্কতার কারণে কনষ্টেবল সৌরভ বড়ুয়ার রাইফেল থেকে গুলি বের হয়ে যায়। এতে কনষ্টেবল পূর্ণ বড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মার যান।

উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা!





মোবাইল ফোনের জন্যেই নাকি উচ্ছনে যাচ্ছে গ্রামের মেয়েরা। তাই উত্তরপ্রদেশের আলিগড় গ্রামের এক পঞ্চায়েত আঠারো বছরের কম বয়সী মেয়েদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যারা এই নির্দেশ পালন করবে না, তাদের পরিবারকে শাস্তি হিসেবে ঝাড়ু দিতে হবে গ্রামের রাস্তা। ঘটনাটি ঘটেছে ইগলাস তালুকের গোন্ডা ব্লকের বাসাউলি গ্রামে। সেখানকার খাপ পঞ্চায়েত এই নিদান দিয়েছে। একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী উঠে পড়ে লেগেছেন ডিজিটাল ভারত উদ্যোগের অন্তর্গত দেশের সবার হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে দেওয়ার, তখন গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন একটি সিদ্ধান্ত সত্যিই আশ্চর্য করে দেয়। আগ্রা থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে অবস্থিত এই পঞ্চায়েত রায় দিয়েছে অবিবাহিত মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া চলবে না, চলবে না কোনও রকম সোশ্যাল নেটওয়র্কিং করাও। এর অন্যথা হলে, মেয়েটির বাবা-মাকে পাঁচ দিন ধরে গ্রামের রাস্তা পরিস্কার করতে হবে কিংবা দিতে হতে পারে ১০০০ টাকার জরিমানা। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্‍‌কারে পঞ্চায়েত কো-অর্ডিনেটর রামবীর সিং জানিয়েছেন, হাতে হাতে ফোন থাকার জন্যে কম বয়সী মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে অপরাধের মাত্রা। ভবিষ্যতে যাতে কোনও অপ্রিয় ঘটনা গ্রামের কোনও মেয়ের সঙ্গে না ঘটে, তাই কড়া নজরদারীতে রাখা হবে গ্রামের মেয়েদের। 

ভারমুক্ত হলো বৃক্ষমানবের ডান হাত














দুটি আঙুল জটমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে আজ শনিবার অস্ত্রোপচার কক্ষে ঢুকেছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। সেখানেই চিকিৎসকদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের পাঁচটি আঙুল জটমুক্ত হলো।
অস্ত্রোপচার শেষে আবুল বাজনদার হাসি মুখে বললেন, ‘দুর্বল শরীর তো। ভয় লাগছিল। ভালো লাগছে এখন।’
আজ সকাল সোয়া নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আবুল বাজনদারের অস্ত্রোপচার হয়। ‘ট্রিম্যান সিনড্রোমে’ ভোগা বিশ্বের চতুর্থ রোগী হিসেবে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দেন তিনি।
অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে চিকিৎসকেরা আজ সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অস্ত্রোপচারটি তাঁদের ভাষায় ‘যথেষ্ট জটিল’ ছিল। তবে রোগীর হাসি মুখ তাঁদের শঙ্কামুক্ত করেছে।
মেডিকেল বোর্ড এবং বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম বলেন, ‘চারপাশ থেকে গাছের শেকড়ের বৃদ্ধির কারণে ওর আঙুলগুলো চিহ্নিত করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। পাঁচটি আঙুলই আমরা খুঁজে পেয়েছি। আশার কথা আঙুলগুলোয় স্বাভাবিক রক্ত চলাচল আছে। এটি একটি ভালো লক্ষণ।’
প্রথমে দুটি জটমুক্ত করার কথা থাকলেও, পরে পাঁচটি আঙুলেই অস্ত্রোপচার করা হয়। এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘বেশ দ্রুতই আমরা দুটি আঙুল খুঁজে পাই। পরে বোর্ডের সবার সম্মতিতে পাঁচটি আঙুলেই অস্ত্রোপচারের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিই। আপনি যদি সাত দিন হাতে কোনো কাজ না করেন, অষ্টম দিনে হাতটি ঠিকমতো কাজ করবে না। আবুল বাজনদারের হাতটি প্রচণ্ড ভারী হয়েছিল। অকেজো হয়ে পড়েছিল। কিন্তু রক্ত সঞ্চালন থাকায় আমরা আশা করছি, তিনি হয়তো সাধারণ কাজকর্ম করতে পারবেন।’
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা অস্ত্রোপচারের পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনা দেন। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ‘এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরাসিফরমিস’ বা ‘ট্রি-ম্যান’ (বৃক্ষমানব) সিনড্রোমে আক্রান্ত হন আবুল বাজনদার। এই ভাইরাসের সংক্রমণে ক্যানসার হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের আগেই ক্যানসার আছে কি না সে পরীক্ষাসহ, প্রয়োজনীয় বাকি সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা।
অস্ত্রোপচারের জন্য আজ আবুল বাজনদারকে পুরোপুরি অচেতন করা হয়নি। বোর্ড বলছে, পুরোপুরি অচেতন করা হলে হৃদ্‌যন্ত্র, ফুসফুস ও মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা থাকে। তাঁর বেলায় শুধু মাত্র ডান হাতটি অবশ করা হয়েছে। ছুরি ব্যবহার না করে চিকিৎসকেরা ইলেকট্রো সার্জারি করেন। এতে অস্ত্রোপচার হয়েছে দ্রুত, রক্তপাত হয়েছে খুবই কম।
ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ডে আরও তিনজনকে যুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারির বিভাগীয় প্রধান এ বি এম খুরশীদ আলম ও মাইক্রোবায়োলজির প্রধান শহীদুল ইসলাম ছাড়াও দেশের অন্যতম চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এম ইউ কবীরকেও বোর্ডে যুক্ত করা হয়। এম ইউ কবীর বলেন, ‘আগামী সোমবার আবুল বাজনদারের হাতের ব্যান্ডেজটি খোলার কথা রয়েছে। এরপর আমরা লো লেভেল রাইট থেরাপি দেব। এতে তাঁর হাতে রক্ত চলাচল বাড়বে, ব্যাকটেরিয়া দমন করা সম্ভব হবে, স্নায়ুর কার্যকারিতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।’
পরের অস্ত্রোপচারটির জন্য কমপক্ষে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতে পারে বলেও জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। আবুল কালাম বলেছেন, আবুল বাজনদারের চিকিৎসায় রয়াল মেলবোর্ন হাসপাতাল ও লন্ডন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে।
তবু শঙ্কা: আপাতত ভারমুক্ত হলেও নতুন করে আবুল বাজনদারের হাতে আবারও এমন বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। আবুল বাজনদার যে রোগটিতে ভুগছেন তার উৎপত্তি জিনগত কারণে। ডিএনএ’র ঠিক কোন জায়গাটিতে অসংগতি সেটি ধরতে হলে ‘ডিএনএ ম্যাপিং’ করতে হবে। ডিএনএ ম্যাপিং এর কাজ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে চলছে। ওই প্রতিবেদন হাতে পেতে আরও প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। প্রতিবেদন হাতে পেলে আবুল বাজনদারের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা খুশি: পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে থাকা আবুল বাজনদারের কাছে দাঁড়িয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন কথা বলছিলেন। আবুল বাজনদার হাসি মুখে টুকটাক কথা বলছিল চিকিৎসকদের সঙ্গে। মাথার কাছে তখন দাঁড়িয়ে স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েটি।
কথা হয় আবুল বাজনদারের মা আমিনা বেগমের সঙ্গে। এই মায়ের এখন একমাত্র চাওয়া ছেলেকে ফিরে পাওয়া। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বেশি কথা বলতে দেয়নে। তবে ছেলে ভালো আছে বলিছে। আপনারা সবাই দোয়া করেন, ছেলেটা যেন আমার কোলে ফিরি আসে।’ সন্তুষ্ট আবুল বাজনদারের বাবা মানিক বাজনদারও। দরিদ্র পরিবারের প্রায় পঙ্গু ছেলেটির কোনো দিন চিকিৎসা হবে-সে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি

'ফুটপাত দখল করলেই দোকান বন্ধ'




দোকানিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ফুটপাতে চুলা বসিয়ে বা যেকোনোভাবে এক ইঞ্চি জায়গায়ও দখল করবেন না। করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।' আজ শনিবার দুপুরে ডিএনসিসি'র আঞ্চলিক কার্যালয়-৪ (মিরপুর) এ এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। '৭ দিনে পরিষ্কার আমাদের প্রিয় শহর' শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হক বলেন, 'ফুটপাতের এক ইঞ্চি জায়গাও দখল করবেন না। কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া আছে। প্রথমে বুঝাবেন, না মানলে কাউন্সিলদের নিয়ে ওয়েল্ডিং করে দোকান বন্ধ করে দেবেন।'   তিনি আরো বলেন, 'ফুটপাত সাধারণ মানুষের, সাধারণ মানুষ হাঁটবে। আপনি দোকান নিয়েছেন, দোকানের মধ্যে থাকেন। আগামী ১০ মাসের মধ্যে ফুটপাতের মধ্যে দোকানের বর্ধিতাংশ আর সহ্য করা হবে না।'   ফুটপাতের হকারদের প্রতি নিজের সহানুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের চাওয়া, আপনারা ফুটপাত ছেড়ে দিন। আমরা আপনাদের অন্য কোথাও বসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।'   আগামী এপ্রিলের মধ্যে মূল রাস্তার ফুটপাতমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি'র মেয়র।   নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, 'পরিচ্ছন্নকর্মী, কর্মকর্তা, কাউন্সিলরা নগরবাসীকে সেবা দিচ্ছেন, তাদের সম্মান দিন।'   ফ্লাইওভার ও দেয়াল লিখন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, 'ফ্লাইওভার, দেয়ালে অনেক কোম্পানি, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপণ দিচ্ছেন। দয়া করে চলতি মাসের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সেগুলো মুছে ফেলুন।'   এসব মুছে ফেলার জন্য ১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হলো বলেও জানান তিনি - See more at: http://www.bd-pratidin.com/city-news/2016/02/20/128277#sthash.gynVuhiq.dpuf