অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে বেতন কমাতে বাধ্য হয়েছে রাজধানীর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে অভিভাবকদের দাবি অনুযায়ী অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও সেশন চার্জ না কমানোয় তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
আন্দোলনরত কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেতন বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও সেশন চার্জ কমানোর দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে খিলগাঁওয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন অভিভাবকেরা। এরপর সব শ্রেণির বর্ধিত বেতন ২০০ টাকা কমানো হয়েছে, যা পরবর্তী টিউশন ফি আদায়ের সময় সমন্বয় করে নেওয়ার কথা বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত শতাধিক অভিভাবক ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বেতন ১১০০ টাকা (জুনিয়র-প্রথম থেকে পঞ্চম) ও ১২০০ টাকা (ষষ্ঠ থেকে দশম), ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা এবং সেশন চার্জ সাত হাজার টাকা। অথচ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এগুলোর হার অনেক কম। এমনকি ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজেও এত বেশি নয়। তাই এগুলো কমাতে হবে।
অভিভাবকেরা এসব দাবিতে লিফলেটও বিতরণ করেছেন। সেখানে লেখা আছে—বেতন ৮০০ টাকা করতে হবে, অতিরিক্ত আদায়কৃত ভর্তির ১০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে, যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য অভিভাবক প্রতিনিধি রাখতে হবে, একাধিক বাচ্চার ক্ষেত্রে হাফ ফ্রি, ফুল ফ্রি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাকসুদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অভিভাবকেরা আপত্তি তোলার পরপরই বর্ধিত বেতন ২০০ টাকা কমানো হয়েছে। বলেছি, বেতন ২০১৫ সালে যেটা ছিল সেটাই থাকবে। অথচ দাবি মেনে নেওয়ার পর এখন অভিভাবকেরা নতুন দাবি তুলেছেন। বর্তমানে যে হারে বেতন নেওয়া হচ্ছে তা কমানো সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মাকসুদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সরকারকে ট্যাক্স, ভ্যাট দিচ্ছি। যেটা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দিতে হয় না। এই ক্ষেত্রে বেতন নেওয়া যৌক্তিক। কারণ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন বাড়ানোর পর যদি আমাদের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো না হয়, তাহলে ভালো ভালো শিক্ষকদের রাখা সম্ভব হবে না। এটা তো অভিভাবকদের বুঝতে হবে।’