Saturday 12 December 2015

সেই ছাত্রলীগ নেতার স্বজনের কাছে ‘মুক্তিপণ দাবি’



















রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা সাইফুজ্জামান সোহাগের শ্বশুরের মোবাইলে ফোন করে ‘মুক্তিপণ দাবি’ করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুজ্জামান। গত বুধবার রাতে ‘র‍্যাব পরিচয়ে’ রাজশাহীর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অ​ভিযোগ পরিবারের।
সাইফুজ্জামানের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছে বেলা একটার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। ফোনে আমাকে বলা হয়, আপনি কি আপনার জামাইকে ফেরত পেতে চান? আমি বলি, অবশ্যই। তারপর আমাকে বলা হয়, তাহলে আপনাকে কিছু খরচপাতি করতে হবে। আমাকে বলা হয়, সোহাগকে পেতে চাইলে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।’
রেজাউর রহমান আরও বলেন, ‘ওই ফোন আসার কিছুক্ষণ পরে আরও একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, আপনার জামাইকে পাওয়া গেছে। সে পিরোজপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সেখানে সোহাগ নেই।’
সাইফুজ্জামানের বাবা আক্কাস উজ জামান বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো ফোন আসেনি। যেভাবেই হোক আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’
সাইফুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া এলাকার পশ্চিমপাড়ায়। গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুজ্জামানের বাবা অভিযোগ করেন, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে র‍্যাব পরিচয়ে ১৫ জনের একটি দল সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাইফুজ্জামানের বাবা নগরের রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। র‍্যাবের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন। তবে পুলিশ ও র‍্যাব জানিয়েছে, সাইফুজ্জামানকে তারা আটক করেনি। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী


নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী উম্মে হাবিবার আত্মহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখতে নারায়ণঞ্জের জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা 

দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নির্দেশনা পাওয়ার আজ শনিবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই ছাত্রীর বাসায় যান জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আক্তার চৌধুরী প্রথম আলোকে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঘটনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 
এদিকে ওই স্কুলছাত্রীকে অপমান ও মারধর করার অভিযোগে স্কুলের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেক শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 
স্কুলছাত্রী উম্মে হাবিবা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। বাবা মায়ের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে এক ভাড়া বাসায় থাকত সে। সে নারায়ণগঞ্জ সদরের গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত বৃহস্পতিবার বাসা থেকে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর পর বাসায় তার হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। 
ওই চিরকুট ও উম্মে হাবিবার পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায় উম্মে হাবিবা। পরীক্ষা চলাকালে নকল করার অভিযোগে শিক্ষক নাসরিন আক্তার তাকে ভর্ৎসনা করেন। আরেক শিক্ষক কামরুল হাসান তাকে চড় থাপ্পড় মারেন। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এ অপমান সইতে না পেরে উম্মে হাবিবা বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে। 
ইউএনও আফরোজা আক্তার জানান, আজ দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী টেলিফোনে ঘটনা খতিয়ে দেখতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞাকে নির্দেশনা দেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আজ বিকেলে তিনি (ইউএনও) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহীন আরা বেগম ওই ছাত্রীর বাসায় যান। তবে লাশ নিয়ে পরিবার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী যাওয়ায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পরে তাঁরা বাসার মালিক ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেন। 
ইউএনও বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য জেলা প্রশাসককে জানানো হবে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
যোগাযোগ করা হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, প্রকাশ্যে সবার সামনে ওই স্কুলছাত্রীকে ভর্ৎসনা করা মোটেও ঠিক হয়নি। 
এ অভিযোগে শিক্ষক কামরুলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আর শিক্ষক নাসরিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 
এদিকে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির নেতারা। কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহানারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ ওঠা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশের অবহেলা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছে। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ















বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার রাত ৭টার দিকে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদ হোসেন সরদারের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বাংলামেইলকে জানান, খবর পেয়ে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ঘটনার পরপরই জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাইয়ে-ভাইয়ে সংঘর্ষে একজন খুন, আহত ১০















কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম সদরে জমির মালিকানা নিয়ে একই পরিবারের চাচাতো ভাইদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় চাচাতো ভাই নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন।
শনিবার সকালে সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের মালভাঙ্গা গ্রামে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
মালডাঙ্গার বাসিন্দা আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন (৮৫) ও ছেলেদের সঙ্গে তারই সৎ ভাই আব্দুল সোবহান (৮০) ও তার ছেলেরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। 
নিহত ব্যক্তির নাম আকতার হোসেন (৪০)। তিনি আব্দুল সোবহানের ছেলে। আহতরা হলেন- আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেনের ছেলে আব্দুল বাতেন(৬৫), সামছুল হক (৫৫), ইব্রাহিম আলী(৫০), রুহুল আমিন(২৫) ও উল্যামিয়া(২০) এবং আব্দুল সোবহান ও তার ছেলে তাজুল ইসলাম (৪০) ও রাজুমিয়া (২২)। এর মধ্যে আব্দুল বাতেন, সামছুল হক, ইব্রাহিম আলী, উল্যামিয়ার অবস্থার অবনতি ঘটলে বিকেলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৩২ শতাংশ আবাদী জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন ও তার সৎ ভাইয়ের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে শনিবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর এক পর্যায়ে দেশিয় অস্ত্র দা, কুড়াল, ছুরি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 
দফায় দফায় এ সংঘর্ষে দুই পরিবারের আহত হয় অন্তত দশজন। এরমধ্যে গুরুতর জখম আকতার হোসেনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নেয়ার আগেই সেখানে মারা যান। গুরুতর আহত বাতেন, সামছুল, ইব্রাহিম, উল্যামিয়াকে বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. রুহানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল 










বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি জেনেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার। আজ বিকেলে রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘পৌরসভা নির্বাচন- ২০১৫ ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে যে সিটি নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে গণতন্ত্রের লেশমাত্র ছিলো না। এখনও আমরা নীল নকশার একটা নির্বাচনে যাচ্ছি। কারণ একটাই দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে আনতে হবে। পৌর নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করার পরও সারাদেশ বিএনপির ১০ হাজার নেতকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্রই নেই, আবার এর ভবিষ্যত কী হতে পারে? যা আছে তা গণতন্ত্রের ফ্যাসাদ। সরকারের একদলীয় শাসন চলছে, মুক্তচিন্তা নেই। জীবন রক্ষার নিরাপত্তাটুকুও নেই বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। সংগঠনটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুজ্জ‍ামান দুদু, অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারি প্রমুখ। 




Wednesday 9 December 2015

মনোনয়নপত্র বাতিলের খবর শুনে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মৃত্যু












টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভায় মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার খবর শুনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. এনামুল হক মারা গেছেন। তিনি গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন এনামুল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিন নিজের মনোনয়নপত্র বাতিলের খবর শুনে এনামুল হক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক খায়রুল আলম বলেন, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। গোপালপুর থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলের খবর শুনে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার সঙ্গীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শামছুল হুদা বলেন, এনামুল হকের সমর্থক ভোটারের স্বাক্ষর গরমিল হওয়ায় তিনি যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/12/05/298406#sthash.ACDIppbW.dpuf









বিদ্রোহী প্রার্থীদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে আওয়ামী লীগ - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/12/09/300061#sthash.WFjN6oCH.dpuf















দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় সামনে রেখে এই সময়সীমা বেঁধে দিল ক্ষমতসীন দলটি। এর মধ্যে যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।  আজ বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। তিনি আরো জানান, কেন্দ্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এরই মধ্যে অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখনও যারা রয়েছেন, তাঁদের আমরা চিঠি দিচ্ছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য। তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে। এদিকে নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বৈঠকে হানিফ ছাড়াও আওয়ামী লীগের অপর দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ছিলেন। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল আগামীকাল বৃহস্পতিবার। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/12/09/300061#sthash.WFjN6oCH.dpuf

বাঘের মুখ থেকে সন্তানদের রক্ষা করলেন মা



















অসীম সাহসিকতায় বাঘের মুখ থেকে দুই শিশু সন্তানকে রক্ষা করলেন মা। সম্প্রতি ভারতের লখনৌতে কাতারনাইঘাট বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অন্তর্গত মতিপুর রেঞ্জের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে কিভাবে মা তার দুই শিশু সন্তানকে চিতার মুখ থেকে রক্ষা করেন।
ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়, গত রোববার সকালে গ্রামটির বাসিন্দা ফুলমতি (৩০) তার দুই মেয়ে গাদিয়া ও রিচাকে নিয়ে মাঠ দিয়ে আসছিলেন।
এ সময় আচমকা একটি চিতাবাঘ তাদের আক্রমণ করে বসে। সঙ্গে থাকা তার চার বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চিতাটি।
ফুলমতি তখন সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে। পাশাপাশি বাঘটিকে দূরে সরানোর জন্য অনবরত তার দিকে পাথর ছুড়তে থাকেন।
প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে মানুষ আর বাঘের এই লড়াই। এরমধ্যে ফুলমতির এক আত্মীয় তার চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। আসেন গ্রামের আরও দু’-একজন বাসিন্দা।
বাঘটিও দমে যাওয়ার নয়। ভয়ে পালিয়ে না বাঘটি উল্টো তাদের ওপর হামলা করে।
বাঘের হামলায় তিন মা-সন্তানসহ মোট চারজন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এতোকিছু ঘটে গেলেও এর কিছুই জানেন না বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
তাইঘটনার সময় এগিয়ে আসেনি বন বিভাগের কোনো কর্মী।
এ বিষয়ে বাহরেইক জেলার বন কর্মকর্তা আশিস তিওয়ারি বলেন, তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানতেন না।














রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ের পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনার পুনঃতদন্ত কার্যত থমকে গেছে। হাইকোর্টের দেওয়া পুনঃতদন্তের নির্দেশের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ।
তদন্ত থমকে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন খোদ তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ওই নলকূপ স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তদন্ত আর এগোচ্ছে না।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনি এলাকায় গভীর পাইপে পড়ে যায় শিশু জিহাদ। পরদিন দুপুরে কয়েকজন সাধারণ যুবক চেষ্টা চালিয়ে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করে। গণমাধ্যমের কল্যাণে এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।
শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ এনে বাবা নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে ওই পানির পাম্প বসানোর প্রকল্প পরিচালক রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেএসআর-এর মালিক প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। গত ৭ এপ্রিল এ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু আরও কয়েকজন আসামির নাম বাদ পড়ায় জিহাদের বাবা নাসির অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন। নারাজিতে আবু জাফর, সাইফুল ইসলাম, দীপক বাবু ও নাসির উদ্দিন নামের রেলওয়ের চার কর্মকর্তাকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়ার আবেদন করা হয়। শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনাস্থল ওই পানির পাম্প স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে এ চারজনেরও অবহেলা ছিল বলে নারাজিতে বলা হয়।
 নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুন আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দেন। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার কোনো অগ্রগতি নেই।
জিহাদের বাবা নাসির বলেন, ‘আমার ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় আমি ছিলাম শোকাহত। থানা-পুলিশ একটা অভিযোগ লিখেছিল। সেখানে আমি শুধু সই করি। আর ওই অভিযোগটাই মামলা হয়। মামলায় দুজনের নাম ছিল। কিন্তু পরে আমি জানতে পারি, আমার ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় আরও কয়েকজনের অবহেলা আছে। তাদের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত না করায় আমি নারাজি দিয়েছি।’ নাসির বলেন, তিনি নারাজি আবেদনে নতুন চারজনের নাম দিয়েছেন। তাঁরা ওই পানির পাম্প স্থাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অথচ তারপরও কোনো তদন্ত হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জিহাদের  বাবা নাসির বলেন, মামলার তদন্ত এভাবে দীর্ঘায়িত হওয়ায় সুযোগ পেয়ে বসছে জড়িতরা। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন করে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে ক্ষতি আছে বলেও হুমকি দিচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে আমি রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি চিঠি দিয়েছি। ওই নলকূপ স্থাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারা, তাঁদের নাম-ঠিকানা, তাঁদের পদবিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে এ চিঠি দিয়েছি। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো উত্তর পাইনি।’ তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিচ্ছে না বলেই মামলা নিয়ে এগোতে পারছেন না তিনি। তবে তিনি এবার নিজেই রেলওয়ে কার্যালয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগপত্র দেওয়ার চেষ্টা করব।’
জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাত্র এক মাস হলো আমি 
এ পদে যোগ দিয়েছি। এ বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আর তথ্য চাইলে অবশ্যই তথ্য দেব